ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয় উদ্বোধন ও অভিষেক অনুষ্ঠানে

সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ লেখনির মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন -এমপি জাফর

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বলেছেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক ও সমাজের দর্পন। তারা বস্তুনিষ্ঠ লেখনির মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন। তাদের বস্তুনিষ্ঠ লেখনির মাধ্যমে সমাজের প্রকৃত চিত্র যেমন দেশ ও জাতির সামনে ফুটে উঠে, তেমনি তথ্যনির্ভরহীন হলুদ সাংবাদিকতা জাতিকে বিভ্রান্তি করে এবং দেশের সুনাম নষ্ট করে। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যেন কেউ হলুদ সাংবাদিকতায় না জড়ায় সেদিকে সাংবাদিক নেতাসহ সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার সকল জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে কেউ সেবা আগে পায় আর কেউ পরে পায়। তবে কেউই এই সেবা থেকে বঞ্চিত হয়না।
রবিবার (৩১ জুলাই) সকালে পৌর শহরের থানা রাস্তার মাথাস্থ এরিস্টো ডাইন রেস্টুরেন্টের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত নবগঠিত চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে কেক ও ফিতা কেটে ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয় শুভ উদ্বোধন করেন এমপি জাফর আলম।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিনিধি ইবনে আমিন। সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজাদী-কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি ছোটন কান্তি নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার এইচ এম এরশাদ।
সাংসদ জাফর আলম বলেন, আইন প্রণেতা হিসেবে আমি জানি কার কী কাজ? আওয়ামী লীগ একটি সর্ববৃহৎ দল। স্থানীয় পর্যায়ে এই দলের নেতা কে হবেন তা নির্ধারণ বা নিয়ন্ত্রণ করবেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরাই। এক্ষেত্রে সাংবাদিকের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্যসাবেক কমিটির এক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নিজেকে প্রথম আলো পত্রিকার বড় সাংবাদিক হিসেবে জাহির করে নিজের বলয়ের ফেসবুক সাংবাদিকদের নিয়ে আমার বিরুদ্ধে এবং দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের একাধিক সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরণের বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। যাতে আমাদের দলের নেতাদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন হয়। যা হলুদ সাংবাদিকতা। এই ধরণের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রকৃত সাংবাদিকদের সোচ্চার থাকতে হবে।
উদ্বোধকের বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন-ইদানিং কক্সবাজারের ৯ উপজেলায় সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা বেড়ে গেছে। ঠেলা ওয়ালা, রিক্সা ওয়ালা, কুলি ও দিনমুজুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন অশিক্ষিত লোক এই পেশায় নেমে পড়েছে। গলায় নাম সর্বস্ব পত্রিকার কার্ড ঝুলিয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুন্ন করছে। সমাজ থেকে এই অপসাংবাদিকতা রোধ করতেই জেলা ও উপজেলা প্রেসক্লাব গঠন করা হয়েছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ বলেন- বিভিন্ন উপজেলায় কিছু কিছু চাঁদাবাজ সাংবাদিকের অপকর্মের কারণে মহান এই পেশা জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজদের কারণে জেলা পর্যায়ের প্রবীণ সাংবাদিকরাও আজ সাংবাদিক হিসেবে তাদের পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করছেন। এই অপশক্তি রোধকল্পে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রকৃত সাংবাদিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের প্রধান পৃষ্টপোষক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান খাঁন, কক্সবাজারের চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ, চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জুয়েল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম শাহীন, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে হোছাইন আরিফ, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না, সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল, পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল। এতে আরও বক্তব্য রাখেন-লামা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামারুজ্জামান, টেকনাফ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল হোছাইন, চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি যথাক্রমে রফিক আহমদ, মুহাম্মদ মনজুর আলম, রুস্তম গনি মাহমুদ, জিয়া উদ্দিন ফারুক, বিএম হাবিব উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর মোঃ মহসিন ও অর্থ সম্পাদক এ কে এম ইকবাল ফারুক প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: